ইন্দুরকানিতে চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে দুই পরিবারের ১০ জন অসুস্থ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় চেতনানাশকমিশ্রিত খাবার খেয়ে ২ পরিবারের ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল জব্বার গাজী (৬৫), তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগম ((৫৫), মেয়ে জাকিয়া নাসরিন (২৩), ভাইয়ের ছেলে সাকির গাজী (৪৫), তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া বেগম (৩৮), ভাই শাহাদাৎ হোসেন (৩৩), তাঁদের প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন (৯০), তাঁর ছেলে শেখ হেলাল (৫০), হেলালের স্ত্রী নাসরিন নাহার (৪৫) ও ছেলে নাফিজ মাহামুদ (২০)।
হাসপাতাল ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে দুই পরিবারের সদস্যরা সাহ্রি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আবদুল জব্বার গাজীর পরিবারের ছয় সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আনোয়ার হোসেনের পরিবারের চার সদস্যকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পর অসুস্থ ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
অসুস্থ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সাহ্রি খাওয়ার পর ভোর সাড়ে চারটার দিকে আমার চাচা আবদুল জব্বার গাজী অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও অসুস্থবোধ করতে থাকেন। সবার চোখ বুজে আসছিল। এ সময় আমরা মুঠোফোনে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তাঁরা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর চাচা ছাড়া সবার জ্ঞান ফিরেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, চোরের দল চুরির উদ্দেশ্যে রাতের কোনো এক সময় আমাদের দুই পরিবারের খাবারে চেতনানাশক পদার্থ মিশিয়ে রেখেছিল।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ননী গোপাল রায় বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তবিভাগ চালু না হওয়ায় অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক অথবা নেশাজাতীয় কোনো দ্রব্য তাঁদের খাবারের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল।