পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মতিউর রহমানকে মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে। আজ সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলা পরিষদ–সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত আটটার দিকে মতিউর রহমান উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসভবন থেকে সরকারি গাড়িতে করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে চেয়ারম্যানের গাড়ি থামিয়ে কথা বলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সজীব হাওলাদারসহ তিন ব্যক্তি। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর সজীব হাওলাদার মতিউর রহমানকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। সজীব ও তাঁর সহযোগীদের আঘাতে গাড়িটিও সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলাম আমি। এ সময় আমার গাড়ি থামিয়ে সজীবসহ তিন থেকে চারজন অতর্কিত হামলা করে ও গাড়ি ভাঙচুর করে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সজীব হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সজীব হাওলাদারের সঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা উত্তম কুমার বলেন, ‘আমি কয়েক মাস আগে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা দিই। ঘর বরাদ্দ না পাওয়ায় সজীবকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় সজীবের সঙ্গে চেয়ারম্যানের ঝগড়া হয়।’
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।