উজিরপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, স্বামী–শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
বরিশালের উজিরপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে নূপুর (১৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ শনিবার তিনজনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় ওই গৃহবধূর বাবা নজরুল ইসলাম মামলাটি করেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার উপজেলার শিকাপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসী গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার পর পুলিশ মাদ্রাসী গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ওই গৃহবধূর স্বামী মিলন মিয়া (২৫), শ্বশুর মো. সাহেব আলী (৫০) ও শাশুড়ি নাসিমা বেগম (৪২)।
মামলার এজাহারে নিহত গহবধূর বাবা নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিয়ের পর কয়েক দিন যেতে না যেতেই মিলন দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় প্রায়ই নূপুরকে অমানুষিক নির্যাতন করতেন মিলন ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে না দেওয়ায় একাধিকবার নূপুরকে হত্যার হুমকি দেন মিলন। গত শুক্রবার মিলন পরিকল্পিতভাবে নূপুরকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে ‘নূপুর গলায় ফাঁস দিয়েছে’ বলে এলাকায় প্রচারণা চালায়।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ প্রথম আলোকে বলেন, নূপুরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী মিলন, শ্বশুর মো. সাহেব আলী ও শাশুড়ি নাসিমা বেগমকে আসামি করে আজ একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ মাদ্রাসী গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর আগে গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম আশোকাঠী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নূপুরের সঙ্গে মাদ্রাসী গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে মিলন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। যৌতুকের টাকার জন্য মিলন প্রায় নূপুরকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।