উজিরপুরে সেতু ভেঙে খালে, ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ডাবেরকুল–ধামুরা সড়কের ডাবেরকুল স্কুল এ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন স্থানে নির্মিত বেইলি সেতুটি লরিসহ খালে ভেঙে পড়ে। আজ শুক্রবার তোলা ছবি
প্রথম আলো

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ডাবেরকুল–ধামুরা সড়কের ডাবেরকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন স্থানে একটি বেইলি সেতু ভেঙে খালে পড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভেকু নিয়ে একটি লরি সেতুতে ওঠার পর এটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে ১০টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উজিরপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল এলজিইডি ১৯৯৯ সালে উজিরপুর উপজেলার ডাবেরকুল–ধামুরা সড়কের ডাবেরকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন স্থানে ডাবেরকুল–ধামুরা খালের ওপর একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করে। গত ২১ বছরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ২০১৮ সালে বরিশাল এলজিইডি সেতুটিকে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের নির্দেশ দেয়।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা, পশ্চিম ধামুড়া, দক্ষিণ ধামুরা; জল্লা ইউনিয়নের জল্লা, সাহেবের হাট, শোলক, কাংশী; সাতলা ইউনিয়নের সাতলা, দক্ষিণ সাতলাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা, পশ্চিম ধামুড়া, দক্ষিণ ধামুরা; জল্লা ইউনিয়নের জল্লা, সাহেবের হাট, শোলক, কাংশী; সাতলা ইউনিয়নের সাতলা, দক্ষিণ সাতলাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে।

ডাবেরকুল গ্রামের শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যানবাহন উঠলে সেতুটি দোলে। এমন অবস্থার মধ্যে যানবাহন চলছিল। আজ সকালে ডাবেরকুল থেকে একটি ভেকু নিয়ে একটি অতিরিক্ত ওজনের লরি সেতুতে ওঠে। একপর্যায়ে বিকট শব্দে সেতুটি ভেঙে ট্রাকসহ খালে পড়ে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় লরিচালক পলাতক।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহামুদুর রহমান বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ার পর দীর্ঘ সময় চলে গেলেও বিকেল পর্যন্ত এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি কিংবা সড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আজ সকাল থেকে জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে ১০টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেতু সংস্কার করে যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা করা উচিত।

বরাকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম বলেন, আপাতত সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এলজিইডিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়ার পরও সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।