একটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাই, ভোট গ্রহণ স্থগিত

ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে সকাল থেকে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। আজ সোমবার খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: জয়ন্তী দেওয়ান

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের শুরুটা ছিল শান্তিপূর্ণ। আজ সোমবার উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন শুরু হলেও দুপুরের পর বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার পর সদর ইউনিয়নের পাইলট ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩০০ ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় মন্দিরা চাকমা নামের এক মহিলা সদস্য প্রার্থী এবং রূপায়ণ চাকমা নামের এক সদস্য প্রার্থী আহত হন।

আহত রূপায়ণ চাকমা বলেন, তালা প্রতীকের সদস্য পদপ্রার্থী আবুল বাশার ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিতে গিয়ে তিনি আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পর বেলা তিনটার দিকে এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রিকল চাকমা। তিনি বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া বেলা ১১টার দিকে সদর ইউনিয়নের পানছড়ি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের পোলিং এজেন্টদের সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীকসংবলিত ব্যালটে সিল দিতে দেখা গেছে। এ সময় পাঁচজন পোলিং এজেন্টের কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায়।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম মুঠোফোন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও পোলিং এজেন্টদের সামনে ব্যালেটে সিল মারার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

লতিবান ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কিরণ ত্রিপুরা দুপুর ১২টায় অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেননি তিনি।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সত্যপ্রিয় চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনচারুল করিম বলেন, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কে এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পানছড়ির ৫টি ইউনিয়নের ভোটার রয়েছেন ৫২ হাজার ৩ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ ২৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। পাঁচ ইউপিতে ৫ জন নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।