এক মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স বিকল, বিপাকে রোগীরা
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স এক মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। তবে এখন বেশি সমস্যা হচ্ছে করোনা রোগীদের। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের সঠিক সময়ে জেলা শহর কিংবা ময়মনসিংহে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় করোনা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। করোনার রোগীদের অন্য কোনো যানবাহনের চালকেরা বহন করতে চান না। ফলে বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাঁদের জেলা শহরে যেতে হচ্ছে।
উপজেলার চর বাহাদুরাবাদ এলাকার মাহাদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার হঠাৎ তাঁর ফুফুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তিনি তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁর ফুফুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেটি নষ্ট। পরে তিনি ভেঙে ভেঙে ইজিবাইকে করে তাঁর ফুফুকে জেলা শহরে নিয়ে যান। এতে তাঁর অতিরিক্ত টাকাও খরচ হয়।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের মাঠের শেডঘরের নিচে অ্যাম্বুলেন্সটি রেখে দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর কোনো ইঞ্জিন বা যন্ত্রাংশ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০১০ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়। প্রথম দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি ভালোই চলছিল। দু-তিন বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায়ই বিকল থাকত। এক মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি পুরোপুরি বিকল।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সচালক মো.সবুজ মিয়া বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি অনেক পুরোনো। ফলে প্রায়ই নানা রকম সমস্যায় এটি বিকল হয়ে যায়। এক মাস আগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। এখন ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ইঞ্জিনটি ঠিক হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রায়হান হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ সময় রোগীরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে গেছে। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করতে কাজ চলছে।
জামালপুরের সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি
দাস বলেন, বিকল অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত রোগীরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন।