এক মাস পরিচর্যার পর গন্ধগোকুলের দুটি ছানা অবমুক্ত

রোববার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বন বিভাগ চত্বরে ছানা দুটি অবমুক্ত করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক স্বেচ্ছাসেবীর বাড়িতে এক মাস পরিচর্যার পর গন্ধগোকুলের দুটি ছানা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল চারটায় উপজেলার বন বিভাগ চত্বরে ছানা দুটি অবমুক্ত করেন ধুনট উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুর রহিম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শিক্ষক জ্যোতির্ময় রায়, ব্যবসায়ী পরিমল দত্ত প্রমুখ।

৮ মে উপজেলার রনবিলবালা গ্রামে মা হারানো ছানা দুটির সন্ধান পায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থা’। পরে সংগঠনের সভাপতি সোহাগ রায় রাজশাহী বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে অবগত করে নিজ বাড়িতে ছানা দুটির পরিচর্যা দায়িত্ব নেন।

সোহাগ রায় বলেন, বর্তমানে ছানা দুটি একা চলাফেরা করতে পারছে। উদ্ধারের সময় ছানা দুটির বয়স ছিল ১০ দিন। ওজন ছিল প্রায় ৭৮ গ্রাম। বর্তমানে ওজন বেড়ে হয়েছে ২০০ গ্রাম। উদ্ধারের সময় এর দৈর্ঘ্য ছিল ১১ সেন্টিমিটার ও লেজ ছিল ৬ সেন্টিমিটার। এক মাস পাঁচ দিন পরিচর্যার পর বেড়ে দৈর্ঘ্য হয়েছে ২২ সেন্টিমিটার ও লেজ ১৩ সেন্টিমিটার। ছানা দুটির গায়ের রং ধূসরের মধ্যে কালো দাগটানা।


সোহাগের মা শোভা রানী রায় বলেন, তাঁর ছেলে অনুপস্থিতিতে তিনি মা হারানো গন্ধগোকুলের ছানা দুটির দেখাশোনা করতেন। দিনে তিনবার গাভির দুধ খাওয়ানো হতো। ছানা দুটি একটু বড় হলে পাকা কলা, আম ও পেঁপে খাওয়ানো হয়।
বন কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, অবমুক্ত করা গন্ধগোকুলছানা দুটি এখন বড় হয়েছে। বন বিভাগের চত্বরে ছানা দুটি খাবারের মতো ফল-ফলারির গাছ আছে। এসব গাছ থেকে নিয়মিত খাবার সংগ্রহ করতে পারবে। সংস্থাটির এ ধরনের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে আরও উৎসাহিত করবে।