দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জেলায় করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৫। জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সর্বশেষ তিন দিনেই আরও ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সর্বমহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অবাধ চলাফেরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা, সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ না করাসহ আগের তুলনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কমে আসার বিষয়গুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ মনে করছেন চিকিৎসক ও সচেতন নাগরিকেরা।

জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রমতে, জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৮ এপ্রিল। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৩১। ২৪ নভেম্বর এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৪। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ১৭ নভেম্বর এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৬৭। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হিসাব করলে দেখা যায়, প্রথম সপ্তাহে ৩৬ জন আক্রান্ত হলেও পরের সপ্তাহে সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭-এ উন্নীত হয়। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৫৪৩ জনের এবং কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন।

সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলম করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া এবং জনসমাগমস্থল ও ভিড় এড়িয়ে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান সবাইকে নিয়মিত মাস্ক পরিধান করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে জানান, করোনা প্রতিরোধে ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ২৯ নভেম্বর জেলার ২০ হাজার স্থানে একযোগে মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করার জন্য প্রচার চালানো হবে।

সিটি মেয়র ইকরামুল হক জানান, ইতিমধ্যেই বিপণিবিতান ও হাটবাজারগুলোতে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রসঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে এবং মহানগরীর সড়কগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনা আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ২১৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২০১ জন নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে এবং ১২ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন। আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০৩ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।