এরপরেও যদি দিতে কিছু চান, তবে একটা বই দেবেন: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
ফাইল ছবি

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এক অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নাম ঘোষণা দেন সঞ্চালক। এ সময় মন্ত্রী নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে উপস্থাপকের হাত থেকে মাইক নিয়ে বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এনেছি। এখন আমাদের এই ক্রেস্ট দেওয়ার প্রথার পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা আমাকে ফুল দিয়েছেন, তাতেই আমি খুশি হয়েছি। এরপরেও যদি দিতে কিছু চান, তবে একটা বই দেবেন।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে ‘গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্চের অষ্টম ব্যাচের সমাপনী ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার।

অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবর রহমান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। মূল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি সম্পাদক চৌধুরী শহীদ কাদের।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করে শিক্ষামন্ত্রী মঞ্চের নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসেন। এ সময় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানকে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন

চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যের আগে মন্ত্রীকে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি ক্রেস্ট দেওয়ার ঘোষণা দিতে সঞ্চালককে অনুরোধ করেন। সঞ্চালক ঘোষণা দিতে শুরু করেন। তখন মন্ত্রী উঠে গিয়ে উপস্থাপকের হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে ক্রেস্টের পরিবর্তে বই দেওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বই, বিশেষ করে ইতিহাসবিষয়ক পড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যতই বিজ্ঞানমনস্ক বা প্রযুক্তিবান্ধব হই না কেন, আমাদের মধ্যে যদি ইতিহাসবোধ না থাকে, বাঙালির যে আত্মশক্তি তার মূল্যায়ন করতে পারব না।’

সব শেষে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘আজ থেকে আমরা কাউকে সম্মান জানাতে ক্রেস্ট দেব না, ক্রেস্ট নেবও না।’