ওষুধ কোম্পানির ব্যবস্থাপক কীভাবে নিখোঁজ হলেন আট দিনেও তা অজানা

আটদিন ধরে নিখোঁজ একটি ওষুধ কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রিপন বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় রিপন বিশ্বাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তি আট দিন ধরে নিখোঁজ। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (টেরিটরি ম্যানেজার) হিসেবে কাজ করছিলেন।

গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার শেখ হাসিনা সেতুর ওপর থেকে রিপন বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন থেকেই বন্ধ রয়েছে তাঁর মুঠোফোন নম্বর। পরে এ নিয়ে মহম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রিপনের স্ত্রী শিপ্রা বিশ্বাস।

রিপন বিশ্বাসের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আঠারোখাদা ইউনিয়নের কৃষ্ণবিলা গ্রামে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৯ বছর ধরে বোয়ালমারী এলাকায় বিকন ফার্মায় চাকরি করছিলেন রিপন। ৩০ জানুয়ারি শাশুড়ি অসুস্থ থাকায় তাঁর মাগুরায় আসার কথা ছিল। বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে এ নিয়ে তাঁর কথা হয়। তবে সন্ধ্যা থেকে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩০ জানুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে রিপনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মহম্মদপুর মধুমতী নদীতে নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মোটরসাইকেল, হেলমেট ও রিপনের ব্যবহৃত একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। এরপর ডুবুরি দিয়ে মধুমতী নদীতে খোঁজ চালানোর পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় রিপনের সন্ধান করেন পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ।

রিপনের স্ত্রী শিপ্রা বিশ্বাস আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর জানা মতে রিপনের কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা ছিল না। তাই তাঁর সঙ্গে আসলে কী হয়েছে, কিছুই ধারণা করতে পারছেন না তিনি।

জানতে চাইলে রিপন বিশ্বাসের সহকর্মী ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে বাড়ি যাওয়ার জন্য রিপন ছুটি চেয়েছিলেন। পরে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর পান।

আনোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজের আগে রিপন বিশ্বাস কয়েক দিনে অফিসের প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করেছিলেন। সে টাকা মাস শেষে অফিসে বুঝিয়ে দিতে হতো। নিখোঁজের সময় সেই টাকা রিপনের সঙ্গে ছিল কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, যেখানে মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেছে সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের চলাচল থাকে। সেখানে ধস্তাধস্তি বা দুর্ঘটনার মতো কোনো ঘটনা কারও চোখে পড়েনি। প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ নানাভাবে তদন্ত করছে।