কক্ষে মিলল গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় নিজ কক্ষ থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের খাজিরখীল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওই গৃহবধূর নাম সানজিদা নাসরিন (২৫)। তিনি সুন্দরপুর ইউনিয়নের খাজিরখীল গ্রামের ওমানপ্রবাসী মুহাম্মদ আবদুর রহিমের স্ত্রী। নিহত সানজিদার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি, যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সানজিদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছেন।
পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মান্দাকিনী গ্রামের শফিউল আলমের মেয়ে সানজিদার সঙ্গে আবদুর রহিমের বিয়ে হয়। গত ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ আগে আবদুর রহিম দেশে আসেন। এর পর থেকে আবদুর রহিম ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সানজিদার কক্ষ থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সানজিদার বাবা শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওমান থেকে দেশে এসে তাঁর মেয়েকে যৌতুকের জন্য আবদুর রহিম নানাভাবে চাপ দিচ্ছিলেন। একই কারণে শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করতেন। আজ সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন সানজিদাকে হত্যার পর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
তবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন নিহত গৃহবধূর স্বামী আবদুর রহিম। তিনি বলেন, তিনি অন্য কক্ষে ছিলেন। পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর লাশ ঝুলছে।
ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই গৃহবধূর গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশ ঝুলে ছিল। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।