কক্সবাজার হাসপাতালে ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিল আবুল খায়ের গ্রুপ
২৫০ শয্যার সরকারি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আরও ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত হয়েছে। আবুল খায়ের গ্রুপের পক্ষ থেকে আজ শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালে সিলিন্ডারগুলো হস্তান্তর করা হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সদর হাসপাতাল করোনা রোগীর চিকিৎসায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ, ৮ শয্যার এইচডিইউসহ মোট ১৪০টি শয্যা আছে। কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা আছে। তারপরও মাঝেমধ্যে অক্সিজেনের প্রয়োজন দেখা দেয়। এখন আবুল খায়ের গ্রুপ ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখল। এখন সংকটে চট্টগ্রামে যেতে হবে না।
অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এস এম নওশাদ রিয়াদ, আবুল খায়ের গ্রুপের রিজিওনাল অফিসার মনজুরুল হক প্রমুখ।
আবুল খায়ের গ্রুপের কর্মকর্তা মনজুরুল হক বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আবুল খায়ের গ্রুপ। এর আগেও জেলা প্রশাসনকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। এখন সদর হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে। অক্সিজেন শেষ হলে কোম্পানি পুনরায় রিফিল করে দেবে।
সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারে করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এতে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারসহ অন্যান্য হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে।
সদর হাসপাতালের আরএমও এস এম নওশাদ রিয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ, ৮ শয্যার এইচডিইউসহ করোনা রোগীর চিকিৎসায় এই হাসপাতালে ১১৯টি শয্যা ছিল। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় গত সাত দিনে আরও ২১টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন কোনো শয্যা খালি নেই।