কোভিডে আক্রান্ত হয়ে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী (৭০) মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে খুলনা নগরের বসুপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে গাজী মোহাম্মদ আলী জ্বর ও শুষ্ক কাশিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দেন তিনি। এরপর বাসায় গিয়ে বিশ্রামে ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিতে তাঁকে নিয়ে রওনা হন স্বজনেরা। পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পর তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ ফলাফল পাওয়া যায়। রাত ১০ টার দিকে নগরের বসুপাড়া সিদ্দিকীয়া মহল্লায় জানাজা শেষে তাঁকে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পাইকগাছা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান বলেন, আওয়ামী লীগের এই একনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। পাশাপাশি কিডনিজনিত সমস্যাও ছিল তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, গাজী মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
গাজী মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য মো. আকতারুজ্জামান, সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব আলী সানা প্রমুখ।