করোনা নিয়েই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন সাংসদ সাহিদুজ্জামান

মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান কোভিড রোগী। তাঁর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এর মধ্যেই তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন।

মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান
সংগৃহীত

মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান গত ১৩ আগস্ট সপরিবারে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের লকডাউন স্টিকার ঝুলছে তাঁর বাড়িতে। এর মধ্যেই তিনি শুক্রবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী নিয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শুক্রবার রাত ৯টায় গাংনী পৌর শহরের থানা পাড়া সড়কে সাংসদের ভাড়া বাসার সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সাংসদ সাহিদুজ্জামান উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

সাংসদ দায়িত্বশীল হয়ে লকডাউন না মানলে কী করার আছে!
নাসির উদ্দিন, সিভিল সার্জন, মেহেরপুর

সাহিদুজ্জামান গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী লাইলা আরজুমান, ছেলে সাদিউজ্জামান সাইফ ও সামিউজ্জামান সামি করোনা পজিটিভ। পরিবারের সদস্য ছাড়াও সাংসদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক শামীম পারভেজ, ব্যক্তিগত সহকারী সবুজ আহমেদ, সহকারী রাশেদ রাইহানেও করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলার সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান সপরিবারে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁর বাসভাবন লকডাউন করা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। সাংসদ দায়িত্বশীল হয়ে লকডাউন না মানলে কী করার আছে!


গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, সাংসদ সাহিদুজ্জামানের বাসা লকডাউন করার মাত্র ৯ দিন হয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সরকারি নির্দেশনা মানা উচিত।