করোনা রোগীদের সব পরীক্ষাই হবে রামেক হাসপাতালে

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাইল ছবি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের সব ধরনের পরীক্ষা এখন থেকে স্বল্প খরচে হাসপাতালের প্যাথলজিতে করা যাবে। আজ রোববার সকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ ঘোষণা দেন। সকালে নিজের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন এই প্যাথলজির উদ্বোধন করেন তিনি।

হাসপাতালের সভাকক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আর বাইরে যেতে হবে না। ডি-ডাইমার, ডি-হাইড্রোজেনেস, সিআরপি, সিরাম ফেরিটিন পরীক্ষাগুলো হাসপাতালেই হবে। এই পরীক্ষাগুলো বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে অনেক টাকা নেয়। তাই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য হাসপাতালেই এই সেবা শুরু হলো।

সরকারনির্ধারিত ৬০০ টাকায় ডি-ডাইমার, ২৫০ টাকায় সিরাম ফেরিটিন এবং ১৫০ টাকায় ডি-হাইড্রোজেনেস ও সিআরপি পরীক্ষা করা যাবে। পাশাপাশি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) রোগীদের আরও তিনটি পরীক্ষা একসঙ্গে ৬০০ টাকায় করা হবে।

অন্যান্য রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতরেই হাসপাতালে একটি প্যাথলজির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর নাগাদ প্যাথলজি ল্যাবটি পুরোপুরি প্রস্তুত হবে বলে আশা করছেন হাসপাতালের পরিচালক। এটি চালু হলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার চিত্র বদলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সরকারনির্ধারিত ৬০০ টাকায় ডি-ডাইমার, ২৫০ টাকায় সিরাম ফেরিটিন এবং ১৫০ টাকায় ডি-হাইড্রোজেনেস ও সিআরপি পরীক্ষা করা যাবে। পাশাপাশি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) রোগীদের আরও তিনটি পরীক্ষা একসঙ্গে ৬০০ টাকায় করা হবে। ইসিজির ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল। এর সঙ্গে এখন ট্রপোনিন আইও টেস্ট করা যাবে ৫০০ টাকায়। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের বাইরে এই পরীক্ষাগুলো করাতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে এর আগে অনেক রোগী পরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত ২৭ মে প্রথম আলোয় ‘টেস্টের খরচ/সুস্থ না হয়েই হাসপাতাল ছাড়ছে রোগীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অন্য রোগীদের সব ধরনের পরীক্ষা হাসপাতালের অভ্যন্তরে করার পরিকল্পনা তুলে ধরে হাসপাতালের পরিচালক জানান, ইনডোর, আউটডোর, ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং কার্ডিয়াক প্যাথলজি—এই চার ক্যাটাগরিতে পরীক্ষা করা হবে। নতুন আউটডোর প্যাথলজি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কার্ডিয়াক ওয়ার্ডের রোগীদেরও বাইরে যেতে হবে না।

ইনডোর, আউটডোর, ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং কার্ডিয়াক প্যাথলজি—এই চার ক্যাটাগরিতে পরীক্ষা করা হবে। নতুন আউটডোর প্যাথলজি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কার্ডিয়াক ওয়ার্ডের রোগীদেরও বাইরে যেতে হবে না।

হাসপাতালে প্যাথলজি টেকনিশিয়ান স্বল্পতা নিরসনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক নেওয়ার কথা জানান শামীম ইয়াজদানী। বর্তমানে মোট ১১ জন জন টেকনিশিয়ানের মধ্যে ব্লাড ব্যাংকে পাঁচজন ও অন্য ছয়জন প্যাথলজিতে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘এই ছয়জন লোক নিয়ে কীভাবে ২৪ ঘণ্টা প্যাথলজি চালাব? এ জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কিছু লোক নেব। এ জন্য হালকা কিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে। এটা যদি করতে পারি, তাহলে চিকিৎসাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।’