করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন, চিকিৎসকসহ ১১ জন কোয়ারেন্টিনে
কুষ্টিয়ায় সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার ঘটনায় আজ সোমবার চিকিৎসকসহ ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের তিনজন সদস্য রয়েছেন।
আজ সকাল সাতটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। বেলা সোয়া একটার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার একটি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানান, গত শুক্রবার তাঁর স্বামীর সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আর আজ সকালে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিনের সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর দেহে করানো ভাইরাস থাকতে পারে।
এ দিকে বেলা দেড়টায় লাশটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লাশ সিভিল সার্জনের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ভেড়ামারায় নেওয়া হয়। সেখানে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় লাশ দাফন করা হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সংগ্রহ করা নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালের দুজন চিকিৎসকসহ আটজনকে হোম (বাড়িতে) কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এএসএম মুসা কবির বলেন, ‘যেহেতু সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। সেহেতু করোনা সন্দেহ করা হচ্ছে।’
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ দুপুরে বলেন, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে জীবাণুনাশক ছিটানোর পর লাশ নামানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের তিনজন সদস্য জানাজায় অংশ নেন। পরে লাশ দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেওয়া তিনজনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তির কুষ্টিয়া শহরের ভাড়া করা বাড়িটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী লকডাউন (অবরুদ্ধ) করে দিয়েছেন। নমুনার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটি ‘লকডাউন’ থাকবে।
আরও পড়ুন...