সবুজের বাবা দরিদ্র ভ্যানচালক একরামুল সরদার। দুই ভাই–বোনের মধ্যে সবুজ বড়। এ বছর ফুলবাড়ি কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন সবুজ। তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করছেন দিনাজপুরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। পড়াশোনার পাশাপাশি উপজেলার পাঠকপাড়া বাজারে মোবাইল মেকানিকের কাজও করেন সবুজ।
সবুজ সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই উড়োজাহাজ বানিয়ে আকাশে ওড়ানোর স্বপ্ন ছিল। উড়োজাহাজটি তৈরি করতে সবকিছু মিলিয়ে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মুঠোফোন মেকানিকের দোকানে কাজ করে টাকা জোগাড় করেছেন। দেড় মাস সময় দিতে হয়েছে এর পেছনে।
সবুজের মা শেফালি বেগম বলেন, যেদিন থেকে উড়োজাহাজটা উড়ছে সেদিন থেকেই সবুজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়ে বিমান উড়ায়। ব্যাটারি চার্জ শেষ হলে আবার বাড়িতে আসে চার্জ দেয়। দুই বছর ধরে মুঠোফোন মেকানিকের দোকান দিয়েছে। সংসারেও এখন একটু আধটু সহযোগিতাও করে।
সবুজের উড়োজাহাজ দেখে আনন্দিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। পরিষদের পক্ষ থেকে সবুজকে আর্থিকসহ অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।