কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

মারধরের শিকার পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক সুবক্তগীন মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক তত্ত্বাবধায়ককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চসিকের সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সেই সাবেক কাউন্সিলরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন অভিযোগকারী সুবক্তগীন মাহমুদ।

মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন মো. হাসান লিটন। তিনি পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে নগরের বাকলিয়ার নূর নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বলা হচ্ছে। তাঁর দাবি, খাল ও নালা-নর্দমা থেকে তোলা মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন দীর্ঘদিন ধরে নালা-নর্দমা ও খাল থেকে উত্তোলন করা মাটি নূর নগর হাউজিং এলাকায় ফেলে আসছে। আজ মাটি ফেলার কাজ তদারকির সময় সুবক্তগীন মাহমুদকে মারধর করেছেন সাবেক কাউন্সিলর হাসান লিটন ও তাঁর লোকজন।

পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক সুবক্তগীন ঘটনাস্থলে একা ছিলেন। এই সুযোগে সাবেক কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজন সুবক্তগীনকে মেরেছেন। মারধর করে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে হাসান লিটনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নগরের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নূর নগর হাউজিং এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক তত্ত্বাবধায়ককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত শনিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন খাল ও নালা-নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা ও কাদা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমানে নগরের পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বীর্জা খাল ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডের ডোম খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। এসব খাল থেকে উত্তোলন করা বর্জ্য নূর নগর হাউজিং এলাকায় ফেলা হয়।