কলমাকান্দায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার ধান মহাল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিএনপির অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা সদরের সেতুসংলগ্ন ধানমহাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মধ্যবাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাঁরা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় তাঁরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির ব্যানার নিয়ে ধানমহাল এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাঁধা দেন। উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মতিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. চন্দন মিয়া, কলমাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আরাফাত রহমান, ছাত্রদলের সদস্যসচিব শেখ রবিন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হাসান, খারনৈ ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি তমাল মিয়া, মো. আরাফাতসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাসের মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ বিশ্বাস হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেননি। এটা একেবারে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে যতটুকু শুনেছি, বিএনপির নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেরাই নিজেদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে সরকারি দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই না। আওয়ামী লীগ হিংসা বা সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার ধানমহাল এলাকায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এ নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানান।