কসবায় কনের বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ১৯ দিন পর মামলা রেকর্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিয়েবাড়িতে দই না পাওয়ায় কনের বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ১৯ দিন পর আদালতের নির্দেশে মামলা নিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে কসবা থানা-পুলিশ মামলা গ্রহণ করে। একই দিনে আসা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতের কারণে কনের বাবা ইকবাল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ আসায় নিহত ইকবাল হোসেনের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমের করা অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গনকমুড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমা আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বিষ্ণাউড়ী গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের দিন দই খাওয়া নিয়ে বরপক্ষের সঙ্গে কনেপক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন রাতে গনকমুড়ায় এক চায়ের দোকানের সামনে ইকবাল হোসেনকে বিষ্ণাউড়ী গ্রামের মান্নাফ ও হান্নান সর্দারসহ তাঁদের লোকজন দুই দফা হামলা করে গুরুতর জখম করেন। এরপর আহত ইকবালকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় পথরোধ করেন হামলাকারীরা।

পরে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হরমুজ আলীর সহযোগিতায় ইকবালকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন ৭ অক্টোবর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহত ইকবালের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম ১৭ জনকে আসামি করে কসবা থানায় একটি হত্যার অভিযোগ করলেও পুলিশ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার কথা বলে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। এ ঘটনায় প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জ্যোৎস্না বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আবেদন করেন। ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।