কসবায় তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় তিন ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন। প্রেসক্লাবের সামনে, কসবা, ২০ জানুয়ারি দুপুর
ছবি: প্রথম আলো

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় তিন ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

উপজেলার গুরুহিত গ্রামবাসীর উদ্যোগে আজ দুপুরে কসবা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। মিছিলটি কসবা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে তাঁরা ইউএনও মাসুদ উল আলমের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

গুরুহিত গ্রামের বাসিন্দা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোসলেম হাজারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. হান্নান খন্দকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, টিঘরিয়া গ্রামের আলমগীর মোল্লা গুরুহিত মৌজার পশ্চিম পাশের প্রায় ছয় থেকে সাত একর তিন ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে কেটেছেন। এতে অন্যের জমির মাটি ভেঙে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে জমির মালিকেরা কম দামে তাঁর কাছে জমি বিক্রি করছেন। এতে তিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টিঘরিয়া গ্রামের আলমগীর মোল্লা কসবা পৌর শহরের গুরুহিত মৌজা এলাকায় তিন ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে জমি খনন করছেন। এতে অনেক ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।

টিঘরিয়া গ্রামের মো. আলমগীর মোল্লা বলেন, ‘আমি এলাকায় পুকুরে মাছ চাষ করেছি। গরু ও মুরগির খামার বানিয়েছি। এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। আমি নতুন কোনো ফসলি জমির মাটি কাটছি না। একটি জমি ক্রয় করেছিলাম। এতে অন্য লোকজন কিনতে না পেরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করছে। অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

ইউএনও মাসুদ উল আলম বলেন, গুরুহিত গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার একটি অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ফসলি জমি থেকে মাটি না কাটতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আবারও কেউ মাটি কাটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।