কুমিল্লায় আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান ওরফে রকি (৩২) ও ৭ নম্বর আসামি আলম মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ শনিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আশিকুর রহমান কুমিল্লা নগরের তেলিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাগোয়া মনির মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। আলমের বাড়ি কুমিল্লা নগরের পূর্ব পাড়া বউবাজারে। তিনি ওই এলাকার প্রয়াত জানু মিয়ার ছেলে ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের বড় ভাই।

এ নিয়ে এই মামলার ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এই মামলার ৪ নম্বর আসামি সুজানগর পূর্ব পাড়া বউবাজার এলাকার প্রয়াত কানু মিয়ার ছেলে সুমনকে (৩২) গত বুধবার সকালে র‍্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে। সুমন বর্তমানে হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিত্সাধীন।

গত বৃহস্পতিবার বেলা একটায় জেলার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে দেবীদ্বার সড়ক থেকে মামলার ৯ নম্বর আসামি সংরাইশ বেকারি গলি এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুমকে (৩৯)গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার আসামি আশিকুর রহমানকে লালমনিরহাটের চণ্ডীবাজার থেকে ও আলম মিয়াকে কুমিল্লার বড়জ্বালা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র‍্যাব-১১ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়া থ্রিস্টার এন্টারপ্রাইজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টায় কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।