কুমিল্লায় ই-অরেঞ্জের পাঁচজনের নামে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

আদালত
প্রতীকী ছবি

গ্রাহকের ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ৩১২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পাঁচজনের নামে গতকাল রোববার কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী কুমিল্লা সদরের বাসিন্দা মো. সাইফুল খান। বিচারক কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী ও ই-অরেঞ্জের উপদেষ্টা মাসুকুর রহমান, ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমানউল্লাহ, ই-অরেঞ্জের দুই নতুন স্বত্বাধিকারী বীথি আক্তার ও কাউসার।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এ এফ মজুমদার নোমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ ও ১০৯ ধারায় ওই মামলা করা হয়। এই মামলায় ৩৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের জন্য বলেছেন।

মো. সাইফুল খান মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন, ই-অরেঞ্জের পণ্য কেনার জন্য পুরো বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ ক্রেতা প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা দেন। এর মধ্যে কুমিল্লার ৩৬ জন গ্রাহকের ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ৩১২ টাকা রয়েছে। কিন্তু টাকা নিয়ে প্রতারণা করে কোম্পানি লাপাত্তা হয়ে যায়। ১৫ মে থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। এরপর প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৭ আগস্ট পণ্য সরবরাহ করা হবে। গ্রাহকেরা গুলশানের অফিসে গিয়ে অফিসটি তালাবদ্ধ পান। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করেছে। তিনি এর বিচার চান।