কুমিল্লায় এক দিনে মৃত্যু ৭ জনের, ৯ দিনে ৪৩

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এক দিনে মারা গেছেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনজন, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবীদ্বার ও দাউদকান্দিতে একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে মারা গেলেন ৪৩ জন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এ তথ্য উপস্থাপন করে।

এর আগে ৮ জুলাই ৬, ৭ জুলাই ৭, ৬ জুলাই ৭, ৫ জুলাই ৪, ৪ জুলাই ৩, ৩ জুলাই ২, ২ জুলাই ২ ও ১ জুলাই ৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়। গত ৯ দিনে মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ১৭ জন সিটি করপোরেশন এলাকার এবং ২৬ জন জেলার অন্যান্য এলাকার। গত বছরের ১১ জুলাই কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার নবীয়াবাদ এলাকার এক বাসিন্দা করোনায় প্রথম মারা যান। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫২০ জন।

এদিকে কুমিল্লায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। আজ এক দিনে জেলায় ৩৭৫ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬৯, আদর্শ সদর উপজেলায় ৩৬, মুরাদনগরে ৩১, বুড়িচং উপজেলায় ২২, দাউদকান্দিতে ২১, চান্দিনায় ১৯, লাকসামে ১৩, বরুড়ায় ১২, দেবীদ্বার, লালমাই ও চৌদ্দগ্রামে ৯ জন করে, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৮, মনোহরগঞ্জে ৬, তিতাসে ৫ এবং হোমনা, নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণে ২ জন করে রয়েছেন। মেঘনায় এদিন কোনো রোগী শনাক্তের তথ্য নেই। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ শনাক্ত ১ শতাংশ কমেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় একজন বেড়েছে। পুরো জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৭৫৮ জনের।

জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লার সর্বত্রই করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে।