কুমিল্লায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৮১। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়। সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, গত বছরের ৭ এপ্রিল এই জেলায় প্রথম করোনা শনাক্তের পর এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার হলো।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্ত ৩৫০ জনের মধ্যে ১৮০ জন সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া চৌদ্দগ্রামের শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ জন, মুরাদনগরের ২৪, চান্দিনার ১৪, ব্রাহ্মণপাড়া ও মনোহরগঞ্জের ১৩ জন করে, লাকসাম ও সদর দক্ষিণের ১১ জন করে, দেবীদ্বারের ১০, আদর্শ সদরের ৯, মেঘনার ৮, বুড়িচং ও বরুড়ার ৭ জন করে এবং লালমাইয়ের ৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে দাউদকান্দি, নাঙ্গলকোট, তিতাস ও হোমনায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১০৮। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২৫ জন।

সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, গত বছরের ৭ এপ্রিল এই জেলায় প্রথম করোনা শনাক্তের পর এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার হলো।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ৩ জন। তাঁরা হলেন ৪৮ ও ৭৫ বছরের দুই নারী এবং ৬৫ বছরের এক পুরুষ। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত চান্দিনার ৭৫ বছরের এক পুরুষ এবং সদর দক্ষিণে ৭০ বছরের এক পুরুষ এই সময়ে মারা গেছেন।

দৈনিক প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা গেছে, কুমিল্লায় আজ ১০ জুলাই করোনা শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৮১, গতকাল ৯ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫, ৮ জুলাই শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৫, ৭ জুলাই ৪৫ দশমিক ৬, ৬ জুলাই ৪১ দশমিক ২, ৫ জুলাই ৪২ দশমিক ১, ৪ জুলাই ৩৩ দশমিক ৫, ৩ জুলাই ৩৮, ২ জুলাই ৩২ দশমিক ৬ এবং ১ জুলাই শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১ ছিল। এ থেকে দেখা যায়, সংক্রমণ ক্রমে বাড়ছে এবং সর্বোচ্চ চূড়ার দিকে এগোচ্ছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কুমিল্লায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার আজ। প্রায় অর্ধেকের মতো নমুনা পজিটিভ। এই ক্ষেত্রে কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। তা না হলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। কুমিল্লা গত বছরের শুরু থেকেই হটস্পট। এখন সতর্ক না হলে অবস্থা ভয়াবহ হতে দেরি নেই।