কুমিল্লায় স্বামী-স্ত্রী হত্যার ঘটনায় পুত্রবধূ আটক

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রী হত্যার ঘটনায় ওই দম্পতির বড় ছেলের স্ত্রী নাজমুন নাহার ওরফে শিউলিকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার মধ্যরাতে উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। এই দম্পতিকে স্বামী-স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত দুজন হলেন বিল্লাল হোসেন (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগম (৬০)। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বিল্লাল হোসেনের ঘরে ঢোকে। এরপর বিল্লাল হোসেনের কাছে জমিসংক্রান্ত কাগজপত্র দাবি করে তারা। এ নিয়ে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে বিল্লাল হোসেনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

আরও পড়ুন

একপর্যায়ে বিল্লাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এই দম্পতির বড় ছেলের স্ত্রী নাজমুন নাহারের চিত্কার শুনে আশপাশের লোকজন তাঁদের বাড়িতে আসে। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় নাজমুন নাহারকে আটক করে পুলিশ।

নিহত দম্পতির মেয়ে বিলকিস আক্তার বলেন, তাঁরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাঁর দুই ভাই বিদেশে ও তাঁরা দুই বোন শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বিলকিসের দাবি, তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী নাজমুন নাহার দুর্বৃত্তদের ঢোকার জন্য দরজা খুলে দেন। নাজমুনের সঙ্গে এক ব্যক্তির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ছাড়া মা–বাবার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ আছে বলে তাঁর জানা নেই।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম বলেন, পুত্রবধূর পরকীয়া ও জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে। নিহত দুজনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। কৌশলে স্বামী-স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।