কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর পরীক্ষা দিলেন ৬০০ শিক্ষার্থী
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। আজ রোববার সকাল ও বিকেলে দুই পালায় ওই পরীক্ষা হয়। এদিন ৮টি বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টারের ১২টি পরীক্ষা হয়। তবে ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর করোনার উপসর্গ থাকায় এই বিভাগের পরীক্ষা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল্লাহ আল মামুন বিকেলে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া, গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ৩ জুন বেলা তিনটায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাডেমিক কাউন্সিল সশরীর ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। এতে করোনা সংক্রমণের কারণে প্রতি বেঞ্চে একজন করে বসে পরীক্ষা দেন। এতে ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন করে পরিদর্শক ছিলেন। আজ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ, স্নাতকোত্তর, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ, মার্কেটিং দ্বিতীয় বর্ষ, লোক প্রশাসন নতুন ও পুরোনো দ্বিতীয় বর্ষের দুটি ব্যাচ, পরিসংখ্যান বিভাগের দুটি ব্যাচ, ফার্মেসি বিভাগের পঞ্চম বর্ষ, আইসিটি বিভাগের তৃতীয় ও প্রথম বর্ষ, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন।
বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় মাস্ক পরে একদল শিক্ষার্থী বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁরা প্রায় অভিন্নভাবে বলছিলেন, ‘অনেক দিন ক্যাম্পাসে এসে প্রাণ খুঁজে পাচ্ছি। ঘরবন্দী থাকতে থাকতে মন বিষণ্ন হয়ে উঠছিল।’
এদিকে আজ সকাল ১০টায় ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটি কোর্সের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর (ছাত্রী) পরিবার থেকে জানানো হয়, তাঁর করোনার উপসর্গ রয়েছে। ওই কারণে পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগে ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে কক্ষ পরিদর্শক ছিলেন। এক বেঞ্চে একাধিক শিক্ষার্থী বসে পরীক্ষা দিতেন।
ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, একজন শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড জ্বর থাকায় পরীক্ষা কমিটি কেবল আজকের পরীক্ষা স্থগিত করে।
উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীর পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে।