কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় দুই মামলা, আসামি পাঁচ সহস্রাধিক
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মা ও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করে। ওই দুই মামলায় ৫ হাজার ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ সহিংসতার সময় ও পরে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বটতৈল ইউপি নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির ও তাঁর কর্মী–সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মিজানুর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে মিজানুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাঁরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোমিন মণ্ডলকে এ হামলার জন্য দায়ী করেন। বিক্ষোভ মিছিল করে মোমিন মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বেলা তিনটার দিকে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে। আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহত মিজানুর রহমানের মা শেফালী মান্নান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা সূত্র জানায়, গতকালের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ লাইনসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহিংসতার সময় পুলিশ বাধ্য হয়ে ৩৭ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে এবং ২৫০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় ও পরে আটক ২০ জনকে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ফাঁকা গুলি না ছুড়লে পরিস্থিতি শান্ত হতো না। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।