কুষ্টিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২২
কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি আবারও অবনতির দিকে। ঈদের সময় দুই দিন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু কম হলেও গত কয়েক দিন ধরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন কুষ্টিয়া কারোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হিসেবে মারা যান ১৫ জন।
বাকি চারজন করোনার উপসর্গ নিয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া দৌলতপুর, মিরপুর ও কুমারখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যান।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী মারা যাওয়ার এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে ২০০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ১৮২ জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগী ১৪১ জন, বাকি ৪১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২১ জুলাই ঈদের দিন নমুনা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্তের হার ২২ জুলাই ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ, ২৩ জুলাই ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ, ২৪ জুলাই ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ২৫ জুলাই ৩০ দশমিক ৯১ শতাংশ, ২৬ জুলাই ৩৩ শতাংশ ও আজ তা এক লাফে ৩৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়।
ঈদের দিন থেকে এই ৭ দিনে মৃত্যুও বেড়েছে। ৭ দিনে করোনা পজিটিভি হয়ে মারা গেছেন ৯৩ জন। এর মধ্যে গত ৪ দিনেই মারা গেছেন ৬১ জন। এত মৃত্যুর ৯৮ ভাগই মারা যাচ্ছেন কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
এদিকে করোনায় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আকরাম হুসাইন মজুমদার (৫০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে ঢাকার কল্যাণপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন ওই অধ্যাপকের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সকালে লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষকের মৃত্যু হলো।