কুষ্টিয়ায় চারজন হত্যার ঘটনায় আটক ১০, পুরুষশূন্য গ্রাম

লাশের অপেক্ষায় স্বজনেরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে চারজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের আটক–আতঙ্কে আস্তানগর গ্রাম প্রায় পুরুষশূন্য।

এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা চারটি লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকেরা আস্তানগর গ্রামে গিয়ে কোনো পুরুষের দেখা পাননি। বাড়িতে বয়োবৃদ্ধ নারীদের দেখা পাওয়া যায়। পুরো গ্রামের মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আটক–আতঙ্কে গ্রামের পুরুষেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নারীরা।

মর্গের সামনে বসে ছিলেন নিহত মতিয়ার রহমানের মা হামিদা খাতুন ও কাশেমের ভাগিনা জবেদা খাতুন। তাঁরা জানান, বাড়ির পুরুষেরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা মর্গে লাশ নিতে এসেছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। থানায় মামলা কখন হবে, বলা যাচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ১০ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

ঈদের আগের দিন সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষের সময় কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত উল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফজলুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

আরও পড়ুন