কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে তিন খুনের ঘটনাস্থল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়েছে
তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে যেখানে গতকাল রোববার তিন খুনের ঘটনা ঘটেছে, গভীর রাতে পুলিশের গাড়ি সেখানে গিয়ে পানি দিয়ে রক্ত ধুয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশের ভবন ও আশপাশের দোকানের নিরাপত্তায় থাকা নিরাপত্তাকর্মী খন্দকার রেজাউল হক প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এমন তথ্য দিয়েছেন।

নিরাপত্তাকর্মী খন্দকার রেজাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান আসে। তখন ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রক্ত পরিষ্কার করার কথা বলেন সেখানে থাকা ব্যক্তিরা। রাত সাড়ে তিনটার দিকে একই গাড়িতে চালকসহ চার পুলিশ সদস্য ও একজন সাধারণ ব্যক্তি ঝুড়ি, ঝাঁটা ও পানি দিয়ে রক্তসহ সবকিছু ধুয়ে-মুছে দেন। আজ সোমবার ভোররাত চারটার দিকে তাঁরা চলে যান।

আজ সকাল নয়টার দিকে কাস্টমস মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো সেখানে মানুষের সীমিত চলাফেরা চলছে। করোনাকালে অন্যান্য দিনের মতো মানুষ সেখানে আছেন।

ঘটনাস্থলের তিনতলা ভবনের নিচতলায় কলাপসিবল গেটের ভেতরে আসমা ও শাকিলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভবনের সামনে বাইরে রবিনকে হত্যা করা হয়। দুটি জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে পুলিশ।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সব আলামত জব্দ করা হয়েছে। যেহেতু সেখানে রক্ত রয়েছে, এতে মানুষ ভয় বা আতঙ্কিত হতে পারে, এ জন্য রক্ত পরিষ্কার করা হয়েছে।’

গতকাল বেলা ১১টার দিকে কাস্টমস মোড়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায় তাঁর স্ত্রী আসমা খাতুন ও আসমার শিশুছেলে রবিন এবং শাকিল নামের এক তরুণকে গুলি করে হত্যা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন। এ ঘটনায় সৌমেনকে পিস্তল, গুলিসহ আটক করে পুলিশ।