কৃষিপণ্য বিপণনে পথের বাধা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে

পেঁয়াজের বীজখেত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী। আজ দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এক কেজি সবজি যশোর-রাজশাহীতে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও ওই সবজি পরিবহনের সময় নানা বাধাবিপত্তির কারণে ঢাকায় গিয়ে দাম হয়ে যায় ৯০ টাকা। কৃষিপণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে পথে এ ধরনের বাধাবিপত্তি সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরে একটি পেঁয়াজের বীজখেত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সফল চাষি সাহিদা বেগমের পেঁয়াজের বীজখেত পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পথের বাধাবিপত্তিগুলো দেখার জন্য এসেছি। আজ রাজবাড়ীতে এ নিয়ে সভা আহ্বান করেছি। সেখানে সবাইকে ডেকেছি। সেখানে এ অঞ্চলের কৃষক প্রতিনিধি, ট্রাকচালক, পাইকারি বিক্রেতা, মহাজনদের ডেকেছি। আমি দেখব কীভাবে পথের এ বিপদ থেকে আমরা উদ্ধার পেতে পারি। সবার কাছ থেকে মতামত নেব। কৃষিপণ্য বিপণনে পথে কী ঝামেলা আছে, সামাজিক রাজনৈতিক যেসব সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, সেটার উদ্যোগ নেব।’

পেঁয়াজের বীজ করতে গিয়ে কৃষকদের কী ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয় এবং কৃষক কীভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন করে আরও লাভবান হতে পারেন, তা জানতে আব্দুর রাজ্জাক সরেজমিনে ফরিদপুরে এসেছেন।

পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানতে কৃষিমন্ত্রী সরেজমিনে ফরিদপুরে এসেছেন বলে জানা গেছে
ছবি: প্রথম আলো

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য অনুকূল ও উপযোগী। তবে পেঁয়াজ দ্রুত পচে যায়। আবার মৌসুমে দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষক ন্যায্য দাম পান না। আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু এখনো পেঁয়াজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রযুক্তি রপ্ত করা যায়নি। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য কোল্ডস্টোরেজ তৈরি করা যায় কি না, সেটা পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।

বর্তমান সরকার কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীরা মাঠে বেশি আসি না। বড় বড় জনসভা করতে আসি। আমি আজ এসেছি মাঠের কৃষকদের খবর জানতে। আপনারা আস্থা রাখুন। কৃষকের স্বার্থবিরোধী কিছু করব না। মধ্যস্বত্বভোগী সারা বিশ্বে আছে। তবে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার একটি সুন্দর আগামীর জন্য চেষ্টা করছে।’

আরও পড়ুন

এর আগে দুপুরে ফরিদপুরে কৃষিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান। এ সময় সেখানে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবির, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, অতিরিক্ত পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হজরত আলী, জেলা বাজার কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন