বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সমাবেশের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ নগরের রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে অনুমতি চাওয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। কৃষ্ণচূড়া চত্বরের পরিবর্তে নগরের হরিকিশোর রায় সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ময়মনসিংহে সমাবেশ করার জন্য গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। ময়মনসিংহ নগরের রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশের অনুমতির জন্য নিয়ম মেনে দলের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও পরে আর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে গতকাল দিবাগত রাত দুইটা পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে পুলিশ নগরের হরিকিশোর রায় সড়কের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি দেয়।
আজ বেলা দুইটা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টার আগে থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। ওই সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছিল। সমাবেশ উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সামনের তিন দিকের সড়কের মধ্যে এক দিকের সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকারের পক্ষে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া স্বাভাবিক। বিভাগীয় সমাবেশে অনেক নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটবে। আমরা কৃষ্ণচূড়া চত্বরে অনুমতি চাইলেও প্রশাসন সেখানে সমাবেশ করতে দেয়নি। যেহেতু দলীয় প্রধানের চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ, তাই আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের বিষয়টি মেনে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ জামান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে বিএনপির সমাবেশ করার অধিকার আছে। আমরা তাদের সমাবেশ করতে বাধা দিইনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা তাদের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশ করতে নিরুৎসাহিত করেছি। তারা এটি মেনে নিয়েছে।’