যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করায় বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন মামলার বাদী খন্দকার মফিদুল ইসলাম। তবে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মফিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘মিশাল কেবল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজের নামে ১২ বছর ধরে কেশবপুর উপজেলার ব্রক্ষ্মকাটি, বালিয়াডাঙ্গা ও রামচন্দ্রপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সুনামের সঙ্গে ডিশলাইনের ব্যবসা করে আসছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম তাঁর দুই সহযোগী মফিজুর রহমান ও আলমগীর সিদ্দিক ওরফে টিটুকে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। মাসে মাসে চাঁদার টাকা না দিলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখাতেন। শান্তিতে ব্যবসা করার লক্ষ্যে মফিজুর ও আলমগীরকে আমি এক লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছি। তাঁরা আরও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।’ তিনি আরও বলেন, ১৭ আগস্ট যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন তিনি। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মফিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির মামলা করার পরে মেয়রের লোকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে অব্যাহতভাবে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তাঁর ডিশলাইনের ব্যবসাটি দখল করে নিয়েছেন তাঁরা। গ্রাহকদের কাছ থেকে লাইন ভাড়া আদায় করে দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। তাঁর পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, কেশবপুরে মফিদুল ইসলামের ডিশলাইনের কোনো ব্যবসাই নেই। এ–সংক্রান্ত ব্যবসার তাঁর কোনো অনুমোদনও নেই। ঠিকাদারি ব্যবসা করার জন্যে মিশাল কেবল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিশলাইনের ব্যবসা করার জন্যে তিনি কোনো অনুমোদন নেননি। তা ছাড়া মফিদুল ও তাঁর পরিবারের কেউ কেশবপুরে থাকেন না। তাহলে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি বা হুমকি দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না।