কেশবপুরে স্থগিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, ১২ ভোটারের জন্য ছিল ১ জন পুলিশ
যশোরের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্থগিত হওয়া নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ সোমবার ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোটে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ছিল ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে মোট ২ হাজার ১১৯ ভোটারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেটসহ নিরাপত্তার প্রস্তুতি ছিল দেখার মতো। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে কেন্দ্রে ছিলেন ১১৯ জন সাংবাদিক।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, স্থগিত হওয়া নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ১১৯ জন। তাঁদের ভোট গ্রহণের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জন দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৫৬ জন পুলিশ সদস্য, ১৭ জন আনসার সদস্য, র্যাবের ১০ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। এর বাইরে সাদাপোশাকে ডিবি পুলিশও দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নির্বাচন কমিশন ১১৯ জন সাংবাদিককে কার্ড দেয়।
হিসাব করে দেখা গেছে, গড়ে ১২ জন ভোটারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া গড়ে ১৮ জন ভোটারের জন্য ১ জন সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। এর বাইরে যশোর ও খুলনা থেকে আরও অনেক সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। সব মিলিয়ে একটি স্থগিত কেন্দ্রের ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ সার্বক্ষণিক কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।
কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনী মাঠে উৎসবের আমেজ। নারী–পুরুষ সবাই হাসিমুখে ভোট দিয়ে ফিরছেন। বাদাম, পাঁপড়, ছোলাভাজা খেতে খেতে ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। নতুন মূলগ্রামের বাসিন্দা আযাহারুল ইসলাম বলেন, এত সুন্দর পরিবেশে এর আগে কোনো দিন তাঁরা ভোট দেননি। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের গৌতম রায় ও বিএনপি–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ভোট গ্রহণ শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৭২৮ ভোট পড়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে জোর করে নৌকার পক্ষে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে এ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে আজ সেখানে ভোট গ্রহণ হয়েছে।