কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমানের দুই অনুসারী গ্রেপ্তার

নিজাম উদ্দিন ওরফে বাদল ও মাহবুবুর রহমান ওরফে আরিফ
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে বাদলের পৃথক দুই অনুসারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন আবদুল কাদের মির্জা ঘোষিত চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ওরফে বাদল (৪২) ও জেলা কমিটি অনুমোদিত একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ওরফে আরিফ (৪৫)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চরকাঁকড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজাম উদ্দিনকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা এলাকা থেকে মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে চর জব্বার থানা-পুলিশ।

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের নয়টি মামলা আছে। এ ছাড়া মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটিসহ বিভিন্ন অপরাধে আটটি মামলা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কাদের মির্জার অনুসারী গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিনকে আজ শুক্রবার নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর কথা আছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, সুবর্ণচরের চরবাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারী মাহবুবুর রহমানকে নিরাপত্তার স্বার্থে রাতেই সুধারাম থানায় নিয়ে রাখা হয়। তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হবে।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণাকালে জাতীয় নির্বাচন, দলের সাংসদ, বৃহত্তর নোয়াখালীর ‘অপরাজনীতি’ নিয়ে কথা বলে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। একপর্যায়ে তিনি তাঁর বড় ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তাঁর স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদেরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলেন।