কোম্পানীগঞ্জে শামিয়ানা টাঙিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভোট
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে মাদ্রাসার মাঠে শামিয়ানা টাঙিয়ে। ভোটকেন্দ্রের এমন দশা দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। ভোটাররাও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে।
এ কেন্দ্র দুটি হলো রামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হোসাইনিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হোসাইনিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রটির ৫টি বুথের মধ্যে ৩টি বুথে নারী ও পুরুষ ভোটারের দীর্ঘ সারি। মাদ্রাসার টিনশেড ঘরসংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় শামিয়ানা টাঙিয়ে বুথ তিনটি করা হয়েছে আর দুটি বুথ করা হয়েছে মাদ্রাসার একটি কক্ষে। কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বসার জন্য কিংবা ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম রাখার কোনো জায়গা নেই।
কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এ ধরনের একটি নামসর্বস্ব ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। কেন্দ্রে এসে একজন ভোটারের সুন্দরভাবে ভোট দেওয়ার কোনো পরিবেশ এখানে নেই। বাইরের যেকোনো দুষ্কৃতকারী চাইলেই কেন্দ্রে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহজাহান ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, হোসাইনিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসাটি কোনোভাবে একটি ভোটকেন্দ্রে হওয়ার উপযুক্ত নয়। তবে সকাল থেকে ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হয়নি। কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাখার জন্য আলমারি কিংবা লকারও নেই। তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৪। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯০০টি।
কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জসিম উদ্দিন জানান, ভোটের দায়িত্ব পালন করতে এসে কেন্দ্র দেখে তিনিও অবাক হয়েছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র হওয়ার কোনো পরিবেশ নেই। এরপরও তাঁরা সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে চেষ্টা করছেন।
শামিয়ানা টাঙিয়ে ভোটকেন্দ্র করার বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত নির্বাচনেও এই মাদ্রাসায় ভোটকেন্দ্র করা হয়েছিল। শুধু নদীভাঙনের কবলে কোনো কেন্দ্র বিলীন হলে তা পুনর্নির্ধারণের সুযোগ আছে, এ ছাড়া অন্য কোনো কারণে কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে কেন্দ্রটির দিকে প্রশাসনের বাড়তি নজর রয়েছে।