কয়লার দাম বাড়ায় ভাটা মালিকেরা বিপাকে

টনপ্রতি কয়লার দাম প্রায় ১৩ হাজার টাকা বেড়েছে। এতে মির্জাপুরের অধিকাংশ ইটভাটা চালু করতে পারেননি মালিকেরা।

কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে অনেক মালিক ইটভাটা বন্ধ রেখেছেন। গতকাল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ছাওয়ালী গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের অধিকাংশ ইটভাটা চালু করতে পারছেন না মালিকেরা। বেশি দামে কয়লা কিনে ইট তৈরির কাজ করলে বড় ধরনের লোকসান হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্র জানায়, মির্জাপুরে ৯৬টি ইটভাটা রয়েছে। সেখানে জ্বালানি কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির সুযোগ আছে। কিন্তু সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকায় কয়েক বছর ধরে তাঁরা কয়লা পুড়িয়ে ইট তৈরি করছেন। কিন্তু হঠাৎ কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় মালিকেরা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত অর্ধেক ইটভাটা চালু করতে পারেননি।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি আবদুল কাদের সিকদার বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকেরা ভারত থেকে কয়লা আনা বন্ধ রেখেছেন। তাঁরা ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আনছেন। ওই কয়লা প্রায় তিন গুণ বেশি দরে ভাটার মালিকদের কিনতে হচ্ছে। গত বছর ইট তৈরির মৌসুমে প্রতি টন কয়লা যেখানে সাত-আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এবার প্রায় ২১ হাজার টাকা দিয়ে সেই কয়লা কিনতে হচ্ছে। কিন্তু বেশি দামে কেনা কয়লা দিয়ে পোড়ানো ইট তাঁদের আগের দরেই বিক্রি করতে হবে। এতে ইটভাটার মালিকেরা তাঁদের মূলধন হারানোর আশঙ্কা করছেন। গতকাল সোমবার পর্যন্ত উপজেলার ইটভাটাগুলোর মধ্যে অর্ধেকই চালু হয়নি।

উপজেলার ঘাগরাই এলাকার এসএবি ব্রিকসের মালিক আলমাছ মিয়া জানান, গত বছর ইট তৈরির মৌসুমের শুরুতে প্রতি টন কয়লা ৭ হাজার ৮০০ টাকা দরে কিনেছিলেন। কিন্তু এবার এক টন কয়লা ২২ হাজার টাকা দরে কিনতে হয়েছে। তিনি গত বছর প্রায় ১ কোটি টাকার কয়লা কেনেন। এবার একই পরিমাণের কয়লা কিনতে ৩ কোটি টাকা দিতে হবে।