খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মী ৬ দিন পর উদ্ধার
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের শিক্ষার্থী কদরুল হাসানকে পাওয়া গেছে। আজ বুধবার ভোরে নগরের লবণচরা দারোগার লেনের সুলতানিয়া আহম্মেদ জামে মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত বৃহস্পতিবার কদরুল হাসান নগরের সোনাডাঙ্গার সোনারবাংলা গলির বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। কদরুল নিখোঁজ থাকায় তাঁর স্ত্রী সাঈদা খাতুন সোনাডাঙ্গা ও খুলনা সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরের দিকে মসজিদের পাশে এক যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মসজিদের মুসল্লিরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ কদরুলকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ কুমার দাশ বলেন, আজ ভোরে নগরের লবণচরা থানার দারোগার লেনের সুলতানিয়া আহম্মেদ জামে মসজিদের সামনে কদরুল হাসানকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ৬ দিন তিনি কোথায় কী অবস্থায় ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি। তিনি সুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে কথা বললে এ বিষয়গুলো জানা যাবে।
কদরুল হাসান নিখোঁজের পর তাঁর সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের এক মাস পূর্ণ হওয়ার দিন কদরুলের খুলনা থেকে হারিয়ে যাওয়া স্পষ্ট একটি বার্তা দেয় যে দেশের ওপর কোনো কালো নজর পড়েছে। হাসিনা পালালেও তাঁর দোসরেরা এ দেশে রয়ে গেছেন। তাঁরাই কদরুলকে গুম করেছিলেন।