খুলনায় স্কুলছাত্র ফাহমিদ হত্যা মামলায় ১৭ ‘কিশোরের’ ৭ বছরের কারাদণ্ড
খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভীর ওরফে রাজিন হত্যা মামলায় ১৭ ‘কিশোরকে’ সাত বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতের বিচারক মো. আবদুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান। তিনি জানান, ঘটনার সময় আসামিরা সবাই কিশোর ছিল। এ কারণে তাদের কিশোর হিসেবে ধরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আসামিদের বর্তমান বয়সকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে যখন ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, তখন আসামিদের বয়স ছিল ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। বর্তমানে ৮ জনের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে। এ কারণে যেসব আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খুলনা পাবলিক কলেজ মাঠে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিল ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভীর। রাতে অনুষ্ঠানস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফাহমিদ তানভীরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে ফাহমিদ তানভীরকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে ওই কিশোরেরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফাহমিদ তানভীরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ২১ জানুয়ারি ফাহমিদের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৬ আসামির নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০ জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২৯ জন সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে ওই রায় দিয়েছেন।