খুলনার চারটি করোনা হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই হাসপাতালগুলোতে মারা গেছেন ১০ জন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩ জন। এর আগে ১ জুলাই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জন মারা যান। ওই সময়ও উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছিলেন ৩ জন।
খুলনার চারটি হাসপাতালে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে। ওই সময়ের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে মারা যান ২৭ জন। এর মধ্যে ৪ জনের উপসর্গ ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত ১৩০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ওই হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ৩ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা সদর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ৩ জন করোনা রোগী। ওই সময়ের মধ্যে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ১৮৮ জন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন ১১৫ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৩৩ জন।
এদিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা সদর (জেনারেল) হাসপাতালে ৮০ শয্যার মধ্যে বর্তমানে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ৭৬ জন। ওই হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক কাজী আবু রাশেদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই হাসপাতালে ১৫ জন নতুন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক প্রকাশ চন্দ্র বলেন, ওই হাসপাতালের ১০টি আইসিইউসহ ৪৫ শয্যার করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৪৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি গেছেন ৪ জন। ওই সময়ের মধ্যে সেখানে কোনো রোগী মারা যাননি।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মিজানুর রহমান বলেন, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১৩০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২১ জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন।