খুলনা করোনা হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু

করোনার প্রতীকী

খুলনা নগরের বয়রা নূরনগর এলাকার করোনা হাসপাতালে ১২ ঘণ্টায় নারী ও শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই চারজনের মৃত্যু হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতি দাস নামের এক নারী মারা গেছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই নারীর বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার যাত্রাপুরে। করোনা পজিটিভ হওয়া ওই নারীকে গত ২৫ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা তিনটার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তালহা নামের ১১ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। তার বাড়ি খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা থানার ছোট বয়রা শ্মশানঘাট এলাকায়। গত ২৬ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

এদিকে বেলা চারটার দিকে আবদুল গফুর নামের ৭০ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত এক রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর বাড়ি খুলনার রূপসায়। ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা পাঁচটার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. জনাত আলী নামে ৮৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান। তাঁর বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামে। করোনা পজিটিভ হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা করোনা হাসপাতালের সমন্বয়ক শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের লাশ সৎকারের জন্য তাঁদের স্বজনদের বলা হয়েছে।