খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হার বেড়েছে
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরও ১২ জন মারা গেছেন। এ সময় ১৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫৬৮ জন। আজ শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতকাল বিভাগে করোনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আগের দিনের চেয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। শনাক্ত সামান্য কমেছে। তবে শনাক্তের হার ও মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে।
বিভাগে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৫০৪ জনের। শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৭ হাজার ৪১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরপর যশোরে ২১ হাজার ২০৭ জনের এবং কুষ্টিয়ায় ১৭ হাজার ৭৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম মাগুরায় ৪ হাজার ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
১০ জেলায় এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৫ জন। শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট পদ্ধতিতে মোট ১ হাজার ৮৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৩। আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ২৮২টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ১১।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন করে করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ খুলনায় ৪০ জন। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৮ জন, ঝিনাইদহ ২৩, যশোরে ৩০, নড়াইলে ৮, বাগেরহাটে ২২, মাগুরায় ১৪, সাতক্ষীরায় ৮, মেহেরপুরে ৭ ও কুষ্টিয়ায় ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই কমছে। আজ শুক্রবার বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে বিভাগের ১০ জেলায় করোনা রোগী ৭ হাজার ২১০ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৩৩ জন এবং বাকিরা বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ২৯। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৭৭। করোনায় মারা যাওয়া সর্বশেষ ১২ জনের মধ্যে খুলনায় ও যশোরে ৪ জন করে, কুষ্টিয়ায় ৩ জন এবং বাগেরহাটে ১ জন করে রয়েছেন।
বিভাগের মধ্যে খুলনায় করোনায় সর্বোচ্চ ৭৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ৭৩৫ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৪৬৫ জন, ঝিনাইদহে ২৬২, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৮, মেহেরপুরে ১৭৮, বাগেরহাটে ১৪১, নড়াইলে ১১৪, সাতক্ষীরায় ৮৮ ও মাগুরায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।