খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যাননি। চার মাসের মধ্যে বিভাগে করোনায় এক দিনে মৃত্যু শূন্য থাকার ঘটনা ঘটল। এর আগে গত ২৭ মে বিভাগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যাননি। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত সময়ে মৃতের সংখ্যা কোনোদিন একজনের কম ছিল না।
এদিকে বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৯১। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১১০ জন। আজ শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আগের সময়ের চেয়ে দুটি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৮৫। ওই সময়ে বিভাগে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে শনাক্ত ও শনাক্তের হার খুব সামান্য বেড়েছে, তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন গত বছরের ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়। গত ৯ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের পর সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ জন। সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫৯।
শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে খুলনা। সেখানে ২৭ হাজার ৮১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম মাগুরায় ৪ হাজার ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১২৪। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৭৯। খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৭৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়ায় ৭৬৩ জন। এ ছাড়া যশোরে ৪৮৮, ঝিনাইদহে ২৬৫, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯, মেহেরপুরে ১৮১, বাগেরহাটে ১৪৪, নড়াইলে ১২১, মাগুরায় ৯০ ও সাতক্ষীরায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভাগে নতুন করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ কুষ্টিয়ায় ২৫ জন। এ ছাড়া ঝিনাইদহে ২, বাগেরহাটে ৪, মেহেরপুরে ১, মাগুরায় ১, যশোরে ৬, খুলনায় ৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৪ ও সাতক্ষীরায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে নড়াইলে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে বিভাগের ১০ জেলায় করোনা রোগী ২ হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ২২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, বাকিরা বাসায় রয়েছেন।