গাইবান্ধায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার বিচার দাবি, ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান ওরফে লিখন হত্যার বিচার ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বন্ধুরা। এই দাবিতে ১৫ দিনের লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাঁরা। আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মঞ্জুরুল হাসান হত্যার বিচারের দাবিতে ১৫ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও ২৩ আগস্ট নিহতের স্মরণে শোকসভার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দিন কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। এই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় সংঘটিত ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা, ব্যবসায়ী রোকন সরদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা এবং পোশাকশ্রমিক নান্নু মিয়াকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দ্রুত বিচার দাবি করা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, মঞ্জুরুল হাসানসহ গত চার মাসে গাইবান্ধা সদরেই পাঁচটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শুরুতেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে এতগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতো না। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এস এম খাদেমুল ইসলাম, গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ হাসান, জেলা যুবজোট সভাপতি সুজন প্রসাদ, জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বিগত সব হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর আছে।