গাজীপুরে দুই যুবককে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নিল পুলিশ

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

দুই বন্ধু গত বৃহস্পতিবার একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন গাজীপুরের মোল্লাপাড়া এলাকায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে তিন পুলিশ সদস্য তাঁদের গতি রোধ করেন। পরে মামলার ভয় দেখিয়ে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহদত হোসেন, কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমান।অভিযোগকারী দুই যুবক হলেন কালিয়াকৈরের মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন। তাঁরা পরস্পরের বন্ধু।

মনির, আলফাজ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই বন্ধু একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাওজোড় এলাকায় উড়ালসড়কের পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য গতি রোধ করেন।

মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাঁদের দেহ তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান পুলিশ সদস্যরা।

আলফাজ ও মনিরের অভিযোগ, দুই কনস্টেবল পকেট তল্লাশি করে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেন এবং তাঁদের বাড়িতে খবর দিয়ে আরও টাকা আনতে বলেন। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের বাবা ঘটনাস্থলে যান। পরে আরও ৬ হাজার টাকা দিলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আলফাজ ও মনির আরও বলেন, দুই মাসের নতুন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যান তাঁরা। মোটরসাইকেল কেনার রসিদও তাঁদের সঙ্গে ছিল। সেটি দেখালেও পুলিশ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮০০ টাকা দিলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বাসন থানার এএসআই শাহদত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাই আমি চৌরাস্তা এলাকায় আছি, আপনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। আর কাউকে বলার দরকার নাই। আপনি আসেন, আমি তাদের টাকা দিয়ে দেব।’

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তাঁদের (পুলিশ সদস্য) বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।