গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কড়ইগ্রামে শ্বশুরবাড়ির শৌচাগার থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে মুর্শেদার বাবা মুজিব আলী বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
ওই গৃহবধূর নাম মুর্শেদা আক্তার (১৮)। তিনি কড়ইগ্রামের কাতারপ্রবাসী জামাল মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় সোনালী-সোহান উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর মুর্শেদার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। মুর্শেদার পরিবারের করা মামলায় মুর্শেদার স্বামী জামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মামলায় জামালের তিন বোনকেও আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কড়ইগ্রামের বাসিন্দা মুজিব আলীর মেয়ে মুর্শেদার সঙ্গে একই গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে জামাল মিয়ার বিয়ে হয়। মুর্শেদা স্থানীয় সোনালী-সোহান উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। মঙ্গলবার রাতে মুর্শেদার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুঠোফোনে মুর্শেদার বাবা-মাকে জানান, মুর্শেদা আত্মহত্যা করেছেন।
এরপর মুর্শেদার স্বজনেরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে ওই দিন দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শৌচাগার থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় মুর্শেদার স্বামী জামালকে আটক করা হয়।
গতকাল রাত আটটার দিকে মুর্শেদার বাবা বাদী হয়ে জামাল ও তাঁর তিন বোনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিয়ের পর থেকে মুর্শেদার স্বামীসহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই মুর্শেদার ওপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। তাঁরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ বলেন, জামালকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়েছে।