গোয়ালন্দে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলার ১০ দিনেও আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সাত বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ মে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার পর ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। মামলার বাদীর অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না পুলিশ।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কালাম শেখ (৪৫)। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ২৮ এপ্রিল কালাম শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে বলে জানা গেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুর মা সংসারে সচ্ছলতার আনার জন্য কাজের সন্ধানে সম্প্রতি প্রবাসে গেছেন। ২৮ এপ্রিল ওই শিশু একা বাড়িতে থাকার সুযোগে কালাম শেখ বাড়িতে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে কালাম শেখ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরাই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। ১২ মে শিশুটি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

পরে ওই শিশু কিছুটা সুস্থ হলে ১৭ মে রাজবাড়ীর আদালতে কালাম শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনে একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা।

ওই শিশুর বাবা অভিযোগ করে বলেন, মামলার পর ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কামাল শেখকে পুলিশ গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি। অথচ আসামি এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন। ধর্ষণের ঘটনার বেশ কিছুদিন পর মামলা করার জানতে চাইলে শিশুর বাবা বলেন, বিষয়টি যেন জানাজানি না হয় সে জন্য তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে পরে ইউপি সদস্যের পরামর্শে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল গাফফার খান বলেন, ‘অভিযুক্ত কালাম শেখ এলাকায় বেকার ঘুরে বেড়াতেন। ওই শিশুর বাবা এ ধরনের অভিযোগ করলে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে বলি। আদালতে মামলার পর থেকে অভিযুক্ত কালাম শেখ গা ঢাকা দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক ইমামুজ্জামান বলেন, আদালতের আদেশে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় যথাযথ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।