আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন একটি প্রাণীকে তাড়া করছে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। মির্জাপুর এলাকায় একটি খাল লাফ দিতে গিয়ে প্রাণীটি পড়ে যায়। আমরা যাওয়ার পর দেখি প্রাণীটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দিই। এর কিছুক্ষণের মাথায় প্রাণীটি মারা যায়। পরে পশুচিকিৎসকেরা এসে নিশ্চিত করেন যে প্রাণীটি মারা গেছে। পরে আমরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেটি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের হস্তান্তর করি।’

মারা যাওয়া নীলগাইটি পুরুষ প্রজাতির। প্রাপ্তবয়স্ক নীলগাইটি আট ফুট লম্বা এবং চার ফুট উচ্চতার। ধূসর রঙের নীলগাইটি প্রায় আড়াই থেকে তিন মণ ওজনের হবে। বাংলাদেশে অনেক আগেই বিলুপ্ত হওয়া নীলগাইটি ভারত থেকেই প্রবেশ করেছে।
হৃষিকেশ চন্দ্র রায়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র

আটোয়ারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অতিরিক্ত দৌড়ানোর কারণে নীলগাইটির শ্বাসকষ্ট হয়। এ সময় হার্ট অ্যাটাকে প্রাণীটি মারা গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। নীলগাইটিকে কেউ মারধর করতে না পারলেও তাড়া করার কারণে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ভারতের কাঁটাতারের বেড়া পার হতে গিয়ে নীলগাইটির পেছনের দুটি পা কিছুটা কেটে গিয়েছিল।’

পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হৃষিকেশ চন্দ্র রায় বলেন, মারা যাওয়া নীলগাইটি পুরুষ প্রজাতির। প্রাপ্তবয়স্ক নীলগাইটি আট ফুট লম্বা এবং চার ফুট উচ্চতার। ধূসর রঙের নীলগাইটি প্রায় আড়াই থেকে তিন মণ ওজনের হবে। মৃত নীলগাইটিকে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এলাকার বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হবে। বাংলাদেশে অনেক আগেই বিলুপ্ত হওয়া নীলগাইটি ভারত থেকেই প্রবেশ করেছে বলে তিনি জানান।