ঘাট সরিয়ে নেওয়ায় পণ্য পরিবহনে বাড়তি ভাড়া

বগুড়া জেলার মানচিত্র

যমুনায় নাব্যতা–সংকটে কালীতলা ঘাট পাঁচ কিলোমিটার দূরে দেবডাঙ্গা এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে বগুড়া-জামালপুর নৌপথ পারাপারে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পণ্য পারাপারে অতিরিক্ত সময় ব্যয় ও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে বগুড়া-জামালপুর নৌপথে সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কালীতলা খেয়াঘাটের মাঝি ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপনায় গত বছরের ১২ আগস্ট চালু হয় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামের একটি সি-ট্রাক। যমুনার বিস্তীর্ণ এলাকায় ডুবোচর জেগে ওঠায় গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া-জামালপুর পথে সি-ট্রাক বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এ পথে ভরসা ছিল ইঞ্জিনচালিত নৌকা। গত শুক্রবার থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে ঘাটের সব নৌকা পাঁচ কিলোমিটার দূরে দেবডাঙ্গা এলাকায় মথুরাপাড়া ঘাটে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নৌযোগাযোগ সচল রাখতে দরকার নদী খনন। তবে সেই কাজে বরাদ্দ মিলছে না।

গত শনিবার সকালে কালীতলা খেয়াখাটে গিয়ে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। খেয়াঘাটকে কেন্দ্র করে কালীতলা গ্রোয়েন বাঁধে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকানের বেশির ভাগই বন্ধ, কিছু দোকান খোলা থাকলেও নেই বেচাবিক্রি। ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ।

কাজলার চরের কৃষক আয়নাল ফকির বলেন, ‘১০ মণ পাট ব্যাচপার আচ্চি। এখন দেবডাঙ্গা ঘাট থ্যাকে ভ্যানত করে গঞ্জত লেওয়া লাগবি। এক মণ পাটের নৌকাভাড়া লাগত ৬০ টেহা। এখন নৌকাভাড়া ছাড়াই ঘাট থ্যাকে সারিয়াকান্দি হাটে এক মণ পাটের ভ্যানভাড়া দেওয়া লাগিচ্চে ৩০ টেহা। পরিবহন খরচ দেড় গুণ গোনা লাগিচ্চে।’

সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান বলেন, কালীতলা ঘাটের উজান-ভাটিতে অসংখ্যা ডুবোচর জেগে উঠে নাব্যতা হারানোয় শুষ্ক মৌসুমে নৌযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। ঘাট সচল ও নৌযোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে নদী খনন দরকার। নাব্যতা ফিরলে ঘাট আবার কালীতলায় সরিয়ে আনা হবে।